‘A strong America needs strong public school,’ বলেছেন আমেরিকার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াল্টার মানডালে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার মারা গেলেন ৯৩ বছর বয়সে। এ ক্ষেত্রে আমরা সম্রাট নেপোলিয়নকেও মনে করতে পারতে পারি। তিনি বলেছিলেন, ‘Give me an educated mother, I shall promise you the birth of a civilized, educated nation’.
হ্যাঁ, আমেরিকা বা উন্নত রাষ্ট্রের দর্শন শিক্ষা ও গবেষণাকে কেন্দ্র করে। শিক্ষা ও গবেষণা ছাড়া কোনোভাবেই একটি রাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না—এটি উন্নত রাষ্ট্রগুলো বুঝেছে বহুকাল আগে থেকে। অন্যভাবে বলতে পারি, তারা ভাগ্যবান যে তারা পেয়েছে সেসব নেতাকে, যারা দেশের উন্নতি চেয়েছে শিক্ষার উন্নতির মাধ্যমে।
পাশের দেশ ভারত শিক্ষায় কতটা এগিয়ে গেছে, তা বোঝা যায় তাদের অভ্যন্তরীণ উন্নতি এবং বিদেশে ভারতের ছেলেমেয়েদের দাপট দেখে। এমনকি পাকিস্তান ও নেপালও শিক্ষায় অনেক এগিয়ে গেছে।
আমার কাছে অবাক লাগে আমাদের নীতিনির্ধারকদের শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা দেখে। তাঁরা কী চান, আমি নিশ্চিত নই। তা×ঁদের পলিসি তৈরিতে শিক্ষার গুরুত্ব আছে কি না, আমার সন্দেহ আছে। একটি বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো প্রচেষ্টা আমাদের নীতিনির্ধারণে দেখা যায় না।
এই কোভিডকালে এ ব্যাপার আরও বোঝা যায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা কীভাবে দ্রুত স্কুলে ফিরবে—এ জন্য তেমন কোনো তৎপরতা কোনো পর্যায়ে দেখা যায়নি। আমরা কেন বাকি বিশ্বের মতো আরও বেশি গবেষণা করতে পারতে পারছি না, এ বিষয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। গবেষণা ছাড়া নতুন কোনো কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। গবেষণা ছাড়া ডক্টর, শিক্ষক সবাই ভালো পোশাকশ্রমিকের মতো। আমরা ভালো টেকনিশিয়ান ছাড়া কিছু নই। টেকনিশিয়ান দিয়ে একটি রাষ্ট্র বিরাট কিছু করে ফেলার স্বপ্ন দেখতে পারে না।
এ রাষ্ট্রের মূল সমস্যা হলো ক্ষমতাকেন্দ্রিক সেক্টর ছাড়া আর কোনো সেক্টর নিয়ে চিন্তা করা হয় না। শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক সেক্টরগুলো বিকশিত করার চেষ্টার কারণে অন্যান্য সেক্টর আস্তে আস্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু অন্যান্য সেক্টর সম্মান পাচ্ছে না, তাই এখানে সবাই ক্ষমতামুখী হওয়ার চেষ্টা করে। একটি রাষ্ট্রের জন্য এটা কতটা ক্ষতিকর, তা আসলে আমরা বুঝি না। আমাদের ছেলেমেয়রা কেন বিদেশে গিয়ে বিখ্যাত গবেষক হয়ে দেশে ফেরে না, এটা নিয়ে আমাদের ভাবার মতো বিন্দুমাত্র সময় নেই।
চিকিৎসক ও পুলিশ সম্প্রতি একটি ঘটনা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দিয়েছে। কেন প্রতিটি খাতকে স্বাধীনভাবে বিকাশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিটি দেশে প্রকৌশল বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ বা মেডিকেল বিভাগ স্বাধীন। তারা তাদের মতো করে সব সিদ্ধান্ত নেয়। কেন আমাদের সবকিছুতে নন-প্রফেশনাল আমলাদের ওপর নির্ভর করতে হবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হবে।
জরুরি সময়ে একটি রাষ্ট্র ঠিকভাবে চলতে হলে রেগুলার সময়ে সবকিছু ঠিক আছে কি না, তা চেক করে দেখতে হয়। এই দেখভাল ভালো হয় সঠিক পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের ওপর। এই কাজগুলো করতে চাই দক্ষ মানুষ। এই দক্ষ মানুষ গড়ে উঠতে পারে সঠিক এডুকেশনের মাধ্যমে। আর সঠিক এডুকেশন পেতে হলে চাই strong public school. আমাদের মাথা কবে খুলবে?
লেখক: ড. মো. ফজলুল করিম, সহযোগী অধ্যাপক, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল, বাংলাদেশ। ভূতপূর্ব ফ্যাকাল্টি, কুমামতো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান এবং পোস্টডক্টরাল ফেলো, পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র।
Thanks For Visit Our Website
Are you concerned about the pet activities your pet when you are not present at…
What Exactly Is an Accident Attorney? An accident attorney is a specialized legal professional who…
Top 10 Must-Read Books for Book Lovers in 2024 For book enthusiasts, each new year…
Introduction to Layering: The Shirt Over a Hoodie Trend Layering is a timeless design approach…
What is Search Engine Marketing? Search engine marketing (SEM) refers to the practice of using paid…
The Path to Balanced Living: Astrology and Vastu Insights Welcome to the journey towards balanced…