করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও নিস্তার নেই। ভুগতে হচ্ছে নানা জটিলতায়। দেখা দিচ্ছে নতুন সব রোগ। সম্প্রতি তালিকায় যোগ হলো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ওরফে কালো ছত্রাক। ভারতের দিল্লিসহ বেশ কিছু শহরের হাসপাতালে ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত অনেকে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। মারাও গেছেন অনেকে।
হিন্দুস্তান টাইমস ও আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুসারে, আহমেদাবাদের বিজে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এই রোগে সংক্রমিত ৬৭ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। শেষ ২০ দিনের মধ্যে এই সংক্রমণ ঘটেছে। এদের মধ্যে ৪৫ জনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দৈনিক ৬ থেকে ৭টি অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে তাদের। দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে একাধিক করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে সেই সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে।
ভারতের জাতীয় গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এ নিয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তারা ফাঙ্গাস নিয়ে কিছু নির্দেশনা ও দিয়েছেন।
ফাঙ্গাসের লক্ষণ:
- নাক বন্ধ হয়ে আসা, নাক থেকে চাপা রক্তের মতো বা কালো পুঁজ বেরনো।
- চোয়ালে বা মুখে এক দিকে ব্যথা, অবশ হয়ে যাওয়া বা ফুলে যাওয়া।
- নাকের উপর কালচে দাগ।
- দাঁতে ব্যথা বা দাঁত আলগা হয়ে আসা
- দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা বা দুটো করে জিনিস দেখা, জ্বর, ত্বকের সমস্যা।
- বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসের সমস্যা বেড়ে যাওয়া।
ফাঙ্গাস হলে যা করবেন:
- হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করা।
- পুঁজ বেরনোর পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা মাপা। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও তাই।
- সঠিক পদ্ধতিতে, সঠিক পরিমাণে এবং ঠিক সময়ে স্টেরয়েড নেওয়া।
- অক্সিজেন থেরাপির সময় পরিষ্কার, স্টেরালাইজ করা পানি ব্যবহার করা (হিউমিডিফায়ারে)
- প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাস ওষুধ খাওয়া।
যা করা যাবে না:
- লক্ষণগুলো খেয়াল রাখা, অবহেলা না করা।
- নাকে কালচে দাগ দেখলেই আতঙ্কিত না হওয়া, বিশেষ করে যে কোভিড রোগীদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম।
- ফাঙ্গাসের উপস্থিতি বুঝতে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করতে ভয় না পাওয়া (কেওএইচ স্ট্রেনিং, মাইক্রোস্কোপি কালচার ইত্যাদি)।
- চিকিৎসা শুরু করতে দেরি না করা।
Great article! We will be linking to this great post on our site.
Keep up the good writing.