বন্ধুদের মধ্যে আড্ডা, শোরগোল, হুইহুল্লোড়ে সবার আগে সাফা কবির। সেই সাফাকে আজকের দিনটিতে খুঁজে পেতে বন্ধুদের কিন্তু বেগ পেতে হবে। কারণ, আজ তাঁর জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে তিনি আড়ালে থাকেন। বন্ধুদের শত অনুরোধেও বাসা থেকে বের হন না। এ নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মান–অভিমান হতো। একসময় তাঁর বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের জন্মদিনের আয়োজন সাফাকে না জানিয়েই সারবেন। যেই কথা সেই কাজ। সেসব জন্মদিনের পার্টিতে সবাই আছেন, সাফা নেই। বাধ্য হয়েই সাফাকে একবার বন্ধুদের শর্ত মেনে বড় করে জন্মদিন উদ্যাপন করতে হয়।
সাফা বলেন, ‘জন্মদিনটা উদ্যাপন করতে আমার ভালো লাগে না। দিনটা একদমই পরিবারের সঙ্গে থাকি। দেখা যায়, কাছের অনেকেই আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমাকেই খুঁজে পান না। তখন তাঁরা আমার ওপর প্রচণ্ড রাগ করেন। তাঁদের সঙ্গে দিনটিকে ঘিরে অনেকবার মান-অভিমান হয়। আমার কাছে মনে হয়, জন্মদিন মানেই বয়স বেড়ে যাওয়া। এটা উদ্যাপনের কী আছে। কিন্তু তাঁরা বোঝেন না। তাঁদের সঙ্গে কেক কাটতে হয়।’
সাফা না চাইলেও তাঁর জন্মদিনে একাধিক কেক কাটতে হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কাছের অনেকের সঙ্গেই দিনটির শুরুতে কেক কাটতে হয়েছে। সারপ্রাইজ হয়েছেন অজ্ঞাতনামাদের কাছ থেকে আসা বেশ কিছু কেক দেখে। কেকগুলো পেয়ে যেমন খুশি হয়েছেন, তেমনি কষ্টও পেয়েছেন। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘সাত–আটটি কেক কে বা কারা আমার বাসার ঠিকানায় দিয়ে গেছেন। কিন্তু কারা এই কেকগুলো পাঠাচ্ছেন, জানতে পারছি না। কেকের ওপর আমার নাম ছাড়া আর কিছুই লেখা নেই। আমাকে পছন্দ করেন বলেই হয়তো এই কেক পাঠিয়েছেন। কিন্তু মনে একটু কষ্ট থেকেই গেল। তাঁদের নামটা জানলে হয়তো ধন্যবাদ দিতে পারতাম। গতকাল থেকে দেখছি, বিভিন্ন গ্রুপে আমার জন্মদিন পালিত হচ্ছে। চিনি না জানি না, তাঁরা আমার জন্য কেক কাটছেন, প্রতিমুহূর্তে ফেসবুক–মেসেঞ্জারে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। এগুলো আমার জন্য বড় আশীর্বাদ ও ভালোবাসা। অভিনয়শিল্পী হিসেবে এখানেই নিজেকে কিছুটা সফল মনে হয়। ভালো লাগে, তাঁরা সবাই জন্মদিন মনে রেখে উদ্যাপন করছেন।’
জন্মদিনে পরিবারের লোকজনের দেওয়া ছোট–বড় উপহারগুলো সাফার কাছে এখনো সেরা প্রাপ্তি। তিনি বলেন, ‘আমার স্মরণীয় উপহার বাবার কাছ থেকে পাওয়া। প্রথম যখন ল্যাপটপ দেশে আসতে থাকে। তখন আমি অনেক ছোট। সেই সময়ে বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছিলেন। পরে পরিবার থেকেই পেয়েছিলাম প্রথম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল। এখনো মনে আছে, তখন সেই ফোনগুলো প্রথম দেশে আসে। সেদিন খুবই খুশি হয়েছিলাম। খুশিতে নিজের ফোনের ক্যামেরায় প্রথম নিজের ছবি উঠিয়েছিলাম।’
বিশেষ এই দিনে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। শুনেছেন, করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিলে জ্বর ও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই জন্মদিনটা এবার সতর্কভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েই আবার নিয়মিত শুটিংয়ে ফিরতে চান এই অভিনেত্রী।
Thanks For Visit Our Website