একটা বয়সের পর মানুষ সাধারনত তার স্বাস্থ্য একটি বিষয় নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন সেটা হলো শরীরের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঘরে বসেই মেদ কমানোর সহজ ৭টি উপায়। কিভাবে তা জানতে সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ুন-
খুব কম মানুষই রয়েছে যারা তাদের বাড়তে থাকা ভুড়ি নিয়ে চিন্তিত নয়। আর শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। আর করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় দীর্ঘ সময় ঘরে থাকার কারণে এই চিন্তা আরও বেড়েছে। তাই ঘরে বসেই কিভাবে ওজন নিয়ন্ত্রন করা যায় ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কি পরামর্শ দিচ্ছে চলুন তা দেখে নিই।
Table of Contents
ঘরে বসেই মেদ কমানোর সহজ ৭টি উপায়
ঘরে বসেই মেদ কমানোর ৭ টি উপায় হলোঃ (১) সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না (২) নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করা (৩) স্ন্যাকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করা (৪)
১. সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে নাঃ
সকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন খাবার বলা হলেও ঘুম থেকে উঠে নানা কারনে আমরা অনেক সময় নাস্তা না করেই দিন শুরু করি। কিন্তু যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বা এনএইচএস বলছে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে কখনই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ সকালে নাস্তা না করলে সারা দিন বার বার ক্ষুদা লাগার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে বার বার অল্প অল্প করে অপরিমিত খাবার গ্রহন করার সম্ভাবনা প্রস্তুত হয়। এ রকম পরিস্থিতিতে অনেক সময়ই অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার গ্রহন করা হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে জমে অতিরিক্ত মেদ।
২. নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করাঃ
একটা ধারনা অনেকের মধ্যেই আছে যে দুপুরে বা রাতে না খেয়ে থাকলে ওজন কমে। কিন্তু কোন এক বেলার খাবার না খেলে যেমন শারীরিক ভাবে দুর্বল বোধ করা বা প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয় তেমনি ক্ষুদার কারণে চর্বি যুক্ত বা বেশি চিনি যাতীয় খাবার প্রবনতাও তৈরি হয়। আসলে দ্রুত হারে ক্যালরি বার্ন করতে চাইলে কোন বেলার খাবার বাদ না দিয়ে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া উচিৎ। নির্দিষ্ট সময়ে খেলে ক্ষুদা, হজম শক্তি, এবং অভ্যন্তরীণ পরিপাক কার্যক্রম একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব হয়। এই অভ্যাসের ফলে শরীরে ইনসুলিন ও কলেস্ট্রলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রনে থাকে।
৩. স্ন্যাকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করাঃ
বেশি মাত্রায় পানি পান করলে আপনার ওজন কমে যাবে এমনটা কিন্তু নয়। কিন্তু অনেক সময় মানুষ ক্ষুদা ও তৃঞার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। আর সেরকম সময় অতিরিক্ত মাত্রায় স্ন্যাকস গ্রহন করে থাকে। ফলে শেষ পর্যন্ত গ্রহন করা হয়ে যায় অতিরিক্ত ক্যালরি। তাই খাবার নির্দিষ্ট সময় ক্ষুদা পেলে স্ন্যাকস জাতীয় খাবার না খেয়ে পানি পান করতে পারেন এমন টাই বলছে বিজ্ঞান।
৪. আঁশ বা ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়াঃ
ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকর। ফল, সবজি, মটর, ডাল ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ থেকে থাকে। এছাড়া প্রতিদিন স্ন্যাকস জাতীয় খাবার না খেয়ে ফল, সবজি এবং আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রনের জন্য খুবই কার্যকরী।
৫. কর্মঠ থাকার চেষ্টা করাঃ
ওজন নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য ব্যায়াম করা কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ব্যায়াম না করেও ছোট খাটো ঘরের কাজ করার অভ্যাস করলেও ক্যালরী বার্ন হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা সহজ হয়। যেমনঃ ঘর পরিস্কার করা, কাপড় ধোয়া বা থালা বাসন ধোয়ার মতো কাজ নিয়মিত ভিত্তিতে করলে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা অনেক সহজ হয়।
৬. খাওয়ার সময় ছোট প্লেট ব্যবহার করা, ধীরগতিতে খাবার গ্রহন করাঃ
একটু অযত্রিক শোনালেও খাবার সময় ছোট প্লেট বা বাটি ব্যবহার করলে সাময়িকের থেকে অল্প পরিমানে খাবার গ্রহন করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর মানুষের পাকস্থলী পূর্ন হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর তার মস্তিষ্কের কাছে বার্তা পৌছায় যে পেট ভরে গেছে। এ কারনে পেট ভরে যাওয়ার আগেই খাওয়া বন্ধ করা উচিৎ। পাশাপাশি ধীর গতিতে খাবার গ্রহন করলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমান খাবার খাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
৭. প্রিয় খাবার বাদ দেবেন নাঃ
ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রনে রাখার পরিকল্পনা থেকে কিন্তু আপনার প্রিয় খাবারটি কখনই বাদ দিবেন না। প্রিয় খাবার বাদ দেওয়া হলে আপনার মধ্যে ঐ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা আপনার মধ্যে তীব্র হতে থাকে। তবে আপনার প্রিয় খাবার যদি বিরিয়ানীর মতো উচ্চ মাত্রায় তেল চর্বি যুক্ত খাবার হয় তাহলে সেই খাবার নিয়মিত না খেয়ে মাঝে মধ্যে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দুশ্চিন্তা ও হতাশার নিরাপদ চিকিৎসা
Thanks For Visit Our Website
Thanks for another informative site. Where else may just I get that kind of information written in such a perfect means? I have a project that I’m simply now working on, and I’ve been at the glance out for such info.