বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় প্রবল বেগে ধেয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের ঘূর্ণিঝড়। আর এসব ঘূর্ণিঝড় কিছু কিছু সময় অনেক ভয়ংকর হয় আবার কিছু সময় স্বল্প বেগে আঘাত হানে। আর এসব ঘূর্ণিঝড় থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সংকেত দিয়ে বোঝানো হয়ে থাকে। আগে প্রায় এক দশকে প্রবল বেগে ঝড় আসতো মাত্র কয়েক বার কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ঝড় প্রায় কিছু কিছু সময় পর পরই হচ্ছে। যে কোনো ঝড় থেকে নিজেকে নিজের পরিবারকে রক্ষার করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা।
কিন্তু কখন আপনি ছুটবেন আশ্রয় কেন্দ্রে? কিভাবে বুঝবেন কোন ঝড় কতটা ভয়ংকর অথবা শক্তিশালী? ঘূর্ণিঝড় বিপদ সংকেত থেকে আপনি জেনে যেতে পারবেন তার উত্তর। ঘূর্ণিঝড় ঝড়ের বিপদকে ১-১১ নম্বর সংখ্যা দ্বারা সঙ্গায়িত করা হয়ে থাকে।
Table of Contents
১ নম্বর দূরবর্তী সর্তক সংকেতঃ
১ নম্বর দূরবর্তী সর্তক সংকেত যার মানে জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার পর দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার সমুক্ষিন হতে পারে। দূরবর্তী এলাকায় ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বাতাসে ঝড়ের গতি থাকে ঘন্টায় ৬১ কিলো মিটার। ফলে সামুদ্রিক ঝড়ের সৃষ্টি হবে।
২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেতঃ
২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত যার মানে দূরে গভীরে একটি ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে ঝড়ে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দর এখনই ঝড়ে কবোলিত হবে না তবে বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ বিপদে পড়তে পারে।
৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেতঃ
৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত যার মানে বন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে এবং ঘূর্ণিবাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলো মিটার হয়ে যেতে পারে।
৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেতঃ
৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত যার মানে হলো বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবোলিত। বাতাসে সম্ভাব্য গতিবেগ ঘন্টায় ৫১ কিলোমিটার থেকে ৬১ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রস্তুতি নেওয়ার মতো নির্বাচনী সময় এখনও আসে নি।
৫ নম্বর বিপদ সংকেতঃ
৫ নম্বর বিপদ সংকেত যার অর্থ হলো বন্দর ছোট বা তীব্র মাঝারি ঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ের বাতাসে একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৬ নম্বর বিপদ সংকেতঃ
৬ নম্বর বিপদ সংকেত যার অর্থ হলো বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৭ নম্বর বিপদ সংকেতঃ
৭ নম্বর বিপদ সংকেত যার অর্থ হলো বন্দর ছোট বা মাঝারী তীব্রতর এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার থেকে ৮৮ কিলোমিটার। ঝড়টি বন্দরকে উপর থেকে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতঃ
৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত যার অর্থ হলো বন্দর প্রচন্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে। ঝড়ে বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশিও হতে পারে। প্রচন্ড ঝড়টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতঃ
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত যার অর্থ হলো বন্দর প্রচন্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশিও হতে পারে। প্রচন্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকুল অতিক্রম করবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতঃ
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত যা অর্থ হলো বন্দর প্রচন্ড বা সর্বোচ্চ তীব্রতর সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসে সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশিও হতে পারে।
১১ ঘূর্ণিঝড়ের প্রচন্ডতার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেতঃ
১১ ঘূর্ণিঝড়ের প্রচন্ডতার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত যার অর্থ হলো আবহাওয়ার যোগাযোগ প্রদান কারীর সাথে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা পরিস্থিতি দূর্যোগপূর্ণ মনে করেন। নদী বন্দর ও সমুদ্র বন্দরের জন্য সর্তক বার্তা আলাদা তাই সর্তক সংকেত বুঝুন এবং নিরাপদে থাকুন।