ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে যে পরিমান আলোচনা হয় নানা নিষেধাজ্ঞার কারনে এখনও খুব বেশি সুবিধা করতে পারছে না ডেলিভারি ড্রোন। কিন্তু সাম্প্রতিক এই লকডাউন পরিস্থিতি কি এই ড্রোন ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন এনে দিয়েছে?
কিছু দিন আগে আয়ারল্যান্ড এর ডাব্লিং থেকে ১৪০ কি. মি. দক্ষিনে পশ্চিমের গ্রাম ম্যানিগো। আর এক সাথে কাজ করলে যে দারুন ফল আসতে পারে সেটার প্রমান দিয়েছে এখানকার স্বাস্থ্য বিভাগ ও ড্রোন কোম্পানী ”মানায়েরো” । কোম্পানীটি আগে থেকেই ড্রোন দিয়েই জরুরী খাদ্য সরবরাহের পরীক্ষা করে আসছিলো। কিন্তু করোনা ভাইরাস এর লকডাউন এর সময়টায় তারা নজর দিয়েছে ঔষধ সরবরাহে।
এই নতুন সেবার শুরু হয় জিপি ভিডিও কনসালটেশন দিয়ে। ডাক্তার কাছাকাছি কোনো ফার্মেসীতে পেছক্রিপশন ই-মেইল করে দেন। এর পর ড্রোনে ঔষধ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ও সেটি রোগীর দরজায় গিয়ে তা পৌছে দেয় বিশেষ করে যারা সেচ্ছা নির্বাসনে আছেন।
এমন একজন সুবিধা ভোগকারী রোগী জানিয়েছেন যে, “তার বয়স ৭০ বছর। সে কখনই চিন্তা করে নি যে তাকে তার ঔষধ কিনতে আর শহরে যেতে হবে না। সে কখনই ভাবে নি যে প্রযুক্তির এমন দিন দেখবো যখন ঔষধ কিনতে আর শহরে যেতে হবে না।
যুক্তরাজ্যেও এখন এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে যে জরুরী চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহে কিভাবে ড্রোন কাজে লাগানো যায়। এছাড়াও ড্রোন দিয়ে আরও নানা জরুরী কাজের জন্য নানা রকম ট্রায়াল চলছে ।
বলা হচ্ছে যে ভবিষ্যতে ড্রোন এক নতুন আলোরন সৃষ্টি করবে। যা মানুষের কষ্ট কমিয়ে দিবে খুব দ্রুত সেবা পাবে এবং খরচও কম হবে।