প্রতিদিনের রূপরুটিনের সাধারণ একটি বিষয় মুখের ত্বক পরিষ্কার করা বা ফেসওয়াশিং। মুখের ত্বকের আগলা ময়লা দূর করতে এর বিকল্প নেই। তবে এই ফেসওয়াশিং নিয়ে রয়েছে প্রচলিত নানা ধরনের ভুল ধারণা। কারণ, মুখ ধোয়া বলতে অনেকে বোঝেন শুধু ধুলা, ময়লা ও ঘাম পরিষ্কার। অর্থাৎ শুধু ত্বকের বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা।
কিন্তু ফেসওয়াশিংয়ের জন্য সঠিক পণ্য এবং পদ্ধতি বেছে নিতে পারলে একের ভেতরেই পাওয়া যাবে পূর্ণাঙ্গ ত্বকের যত্ন, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ব্রণ, ডার্ক স্পট, মলিনতা সবই দূর করতে সক্ষম।
কারণ, বিউটি ব্র্যান্ডগুলো ফেসওয়াশ তৈরিতে যোগ করছে নানা ধরনের পদ্ধতি বা ফর্মুলা, চলছে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ফলে আগে শুধু ত্বক ভেদে যেমন শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্পর্শকাতর ফেসওয়াশ তৈরি হতো। এর সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হয়েছে অ্যান্টি-অ্যাকনে, অ্যান্টি-এজিংসহ নানান ধরনের ফেসওয়াশ। এগুলো যে শুধু কেমিক্যালে নির্ভরশীল তা কিন্তু নয়, শত বছরের পুরোনো আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক উপাদানও যোগ করা হচ্ছে ফেসওয়াশে।
- মাল্টিভিটামিন যুক্ত ফেসওয়াশ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। মূলত ত্বকে জমে থাকা ধুলাময়লা, তেল আর দূষণ দূর করে।
- তাৎক্ষণিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কারণ, মাল্টিভিটামিন ত্বকের ভেতর প্রবেশ করে সহজে। ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে প্রথমবার ব্যবহারেই ত্বকের পরিবর্তন টের পাওয়া যায়।
- কুমকুমাদি তেল, জাফরান, মঞ্জিষ্ঠা চন্দনের মতো উপদানযোগে তৈরি হচ্ছে ফেসওয়াশগুলো। এগুলো ত্বকের ভেতরের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- প্রাকৃতিক ফর্মুলায় তৈরি হয় বলে সব ধরনের ত্বকে ব্যবহারের উপযোগী।
- জাপানিজ গ্রিন–টি সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ, ত্বকের ব্রণ দূর করতে দারুণ কার্যকর।
- ফেসওয়াশগুলো ব্রণ দূর করার পাশপাশি দাগও দূর করে। সেই সঙ্গে ব্রণ যেন আবার ফিরে না আসে, সেই ব্যবস্থাও করে।
- শুধু ত্বকের ওপরের অংশই নয়, ফেসওয়াশগুলো একদম ভেতরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে। ফলে ব্রণের ব্যাকটেরিয়া কোনোভাবেই বাড়তে পারে না।
- মনে রাখতে হবে ত্বক পরিষ্কারের প্রথম ধাপ এটি। ফেসওয়াশ কিংবা ক্লিনজার যেটাই ব্যবহার করা হোক না কেন, মুখ ধুতে হবে নিয়মিত। দিনে অন্তত দুবার করে। ঘুম থেকে উঠে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে। আর বাইরে থেকে ফিরলে তো অবশ্যই।
- ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
Thanks For Visit Our Website
1 thought on “পূর্ণাঙ্গ ত্বকের যত্ন নিন শুধু মুখ ধুয়ে”