যাদের ইন্টারনেট আর স্মার্টফোন আছে শুধু তারাই ট্রেনে চরতে পারবেন। কেনোনা রবিবার থেকে টিকিট যার ভ্রমন তার এই নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই সঙ্গে বন্ধ কাউন্টারে টিকিট বিক্রি। আর জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্মনিবন্ধন সনদ যেটিই হোক না কেনো অনলাইনে এক নামে একটি টিকিটই কেনা যাবে। রেলমন্ত্রী জানালেন টিকিট কালোবাজারী রুখতে এই ডিজিটালাইজেশন।
এখন আর গা ঠেসাঠেসি ভির নেই। নেই পর্যাপ্ত যাত্রী ট্রেন চলাচলের জন্য। করোন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে গেলো ২৪ শে মার্চ বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। ৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেনের মাধ্যমে সীমিত আকারে শুরু হয় ৩১ শে মে। ২৩ শে জুন যোগ হয় আরো এগারো জোড়া। তবে যাত্রী না পাওয়ায় ২ জোড়া ট্রেন এখন বন্ধ। সতেরোর সঙ্গে রবিবার আরও ১২ জোড়া আন্তনগর ট্রেন এবং দুটি কমিউটার চালু করলো রেলওয়ে। সব গুলোর টিকিটই কিনতে হবে অনলাইনে।
অনেকেই এটাকে ভালো ভাবে দেখলেও সবাই এটাকে ভালো ভাবে নিতে পারছে না। কারন যারা শিক্ষিত এবং ইন্টারনেট চালিয়ে অব্যস্থ শুধু তারাই এটা ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু যারা শিক্ষিত নয় বা যাদের কাছে ইন্টারনেট নেই তারা কিভাবে টিকিট কিনবে তা নিয়ে উঠছে অনেক প্রশ্ন। অনেকেই মনে করছেন করোনা কালীন সময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনের চলার জন্য ঠিক আছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে সকালে কমোলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন রেলমন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে কথা বলেন সাংবাদিক দের সাথে। মন্ত্রী জানার অনলাইনেই টিকিট কাটা নিয়ে ভবিষ্যৎ দেখছে রেল মন্ত্রনালয়। যদিও স্বল্প আয়ের মানুষ এবং যাদের স্মার্টফোন নেই তারা কিভাবে টিকিট কাটবে তা নিয়ে কিছু জানান নি।
দেশে মোট ৫০ জোড়া আন্তনগর ট্রেন রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত চালু হলো ২৯ জোড়া এবং এই মাসেই নামবে বাকী গুলো।