করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার সুযোগ হারাবে প্রায় এক কোটি শিশু বা ছাত্র-ছাত্রী। করোনা ভাইরাসের কারনে তারা বিদ্যালয় যেতে পারছে না। এক দিকে মহামারী আর অন্য দিকে বন্যা। যা আয় করে এখন তা থেকে ঠিক মতো সংসারই চলে না তাই শিক্ষা দেওয়ার জন্য টাকা খরচ তো দুরের কথা। তাই এইসব স্বল্প আয়ের পরিবারের সন্তানের শিক্ষার কথা ভাবার কোনো সুযোগ নেই এখন শুধু চিন্তা বেচে থাকার।
শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা “Save the Children” বলছে করোনা ভাইরাস মহামারির কারনে প্রায় এক কোটি শিশু চিরকালের জন্য শিক্ষার সুযোগ হারাবে। বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন নিরব নজিরবিহীন অবস্থা চলছে বলে আরও জানায়। শিশুরা বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়ার উচ্চ বা মাঝারী ঝুকিতে রয়েছে এমন ২৮ টি দেশের ভেতর বাংলাদেশও রয়েছে।
বিদ্যালয় থেকে শিশু ঝড়ে পড়ার হার বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে শিশু শ্রমের হারও আশংকা জনক ভাবে বাড়বে বলে জানিয়েছে গভেষনা সংস্থা “সাউস এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং সনিম”।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে আরেক টি বিপদ হলো বাল্যবিবাহ বেড়ে যাওয়া। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে এর পরিমান বেড়েও গেছে। বেসরকারী গভেষনা প্রতিষ্ঠান “মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন” সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে গত মে মাসে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের পরিমান ছিল – ১৭০। সেটি জুন মাসে গিয়ে দাড়িয়েছে- ৪৬২ তে।
শিশুশ্রম, বাল্যবিবাহ সহ শিশু নির্যাতনেরও জোড়ালো আশংকা জানিয়েছে গভেষকরা। এসব বিপদ মোকাবেলায় সরকারের পুনোরুদ্ধার পরিকল্পনা এখন খসরা পর্যায়ে রয়েছে। তবে বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হবে সেটা নিয়েও নানা উদ্ভেগ রয়েছে।
আন্তার্জাতিক সংস্থা “ইউনেস্কো” এর মতে প্রতিটি দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় বা বরাদ্দ করতে হবে। যেখানে বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরেই হার রয়েছে ২ শতাংশ। চলতি বছরে এই খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৬,৪০০ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ২.০ শতাংশ।