পদ্মা বাংলাদেশের একটি বহুমুখী সেতু। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্মাণ কাজ। ৬.১৫ কি. মি. দীর্ঘ এই সেতু দক্ষিণ বঙ্গের সাথে বাংলাদেশের আমল পরিবর্তন ঘটিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিনী নকশায় স্টিলের এই ট্রাস্ট ব্রিজের উপরের চার লাইনে সড়ক পথ এবং নিচে রেল লাইন বসানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চিনা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে মুল সেতু তৈরির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজই সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে মেঘা এই প্রকল্পে একের পর এক পিলার আর স্প্যান বসাতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ এর অন্ত ছিলো না।
পদ্মা সেতু নির্মানে নিয়োজিত থাকা ওয়াং কুন (প্রকল্প পরিচালক, পদ্মা ব্রিজ রেল লিঙ্ক) জানিয়েছে, “প্রযুক্তিগত দিক থেকে যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে তা হলো এখানকার নরম মাটি। বাংলাদেশ প্রশান্ত অঞ্চল ফলে এখানকার মাটিতে চ্যালেঞ্জটা এমনিই একটু বেশি। আমাদের অনেক গভীরে যেতে হয়েছে। মাটি এতটাই নরম পেয়েছি যে কোনো কোনো পাইলিংয়ে আমাদের ১০০ মিটার এরও বেশি গভীরে যেতে হয়েছে। নরম মাটিকে উপযুক্ত করে তুলতে আমার পিবিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। প্রচুর পরিমানে তাপ ও বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়েছে। এছাড়া কেমিক্যাল, মেকানিক্যাল, পলিসিন বা সিএমপি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুমন্ডলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আর এটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হলে তা তদারকির জন্য কাজ করবে ক্রিত্তিম বুদ্দিমত্তা সম্পূর্ন রোবট।
আর এসব ক্ষেত্রে আধুনিক সব প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়েছে তাদের। কিছু ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবটও কাজ করেছে এই প্রকল্পে। মানুষের জন্য যেসকল জায়গা বিপদ জনক সেখানে কাজে লাগানো হয়েছে ওয়েলডিং রোবট। এই পুরো প্রকল্পের খরচ পড়ছে প্রায় তিন শত বিলিয়ন টাকা । আর সরকারের লক্ষ্য পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বাড়তি যোগ করা।