মাত্র ২৭ মিনিটে ঢাকা থেকে মাওয়া কথাটি স্বপ্নের মতো মনে হলেও বৃহস্পতিবার থেকে তা বাস্তবে রুপ নিবে তা দেশের প্রথম এক্সপ্রেস হাইওয়ের মাধ্যমে। ফলে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে দেশের সড়ক পরিবহনে এমনই মনে করছেন স্থানীয় মানুষ ও সংশ্লিষ্টরা। বৃহস্পতি বার সকালে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ঢাকা টু মাওয়া হাইওয়ে এক্সপ্রেস রাস্তাটি উদ্ভোদন করবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সুবিধার্থে ২০১৬ সালে শুরু হয় দেশের প্রথম হাইওয়ে এক্সপ্রেসের কাজ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু পারি দিয়ে দক্ষিনের মানুষ সরাসরি যাতে রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারে তার জন্যই এই পরিকল্পনা। সাড়ে ৩ বছরেই সেই স্বপ্ন এখন বাস্তব। ঝুড়াইন, পোস্তগোলার জেমে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো সেখানে এখন শুধুই এগিয়ে চলা। এক্সপ্রেস ওয়েতে থাকতে দৃষ্টি নন্দন চার লেনের সড়ক। যে সড়ক ধরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে যানবাহন। স্থানীয়দের চলাচলের জন্য দুই লেনের সার্ভিস সড়ক। ফলে কোথাও নেই থেকে থাকার ভোগান্তি। এই এক্সপ্রেস যুক্ত হয়ে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে। যাতে থাকছে ৪ টি বড় সেতু, ২৫ টি ছোট সেতু, আর পাঁচটি ফ্লাইওভার। এ পথে রেল ওভার পাস থাকছে ১৯ টি। যাত্রাপথে ভোগান্তির শেষ হওয়ায় খুশি গাড়ি চালক ও সাধারন মানুষ। এই থেকে দক্ষিনের অর্থনীতি আরও ভালো হবে বলে জানাচ্ছে অনেকেই। এই রাস্তায় গাড়ির গতিবেগ থাকতে পারবে সর্বোচ্চ ১৫০ কি.মি। অর্থনীতির উন্নতির অন্যতম কারন হলো উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেই রেশ ধরেই দেশে এবার নির্মীত হলো এই এক্সপ্রেস হাইওয়ে।