প্রতিদিন ব্যস্ত রাস্তা দেখতে অভস্ত্য আমাদের চোখের সামনেটা কিভাবে হঠাৎ করেই নিস্তব্ধ হয়ে গেলো। আর সারা বিশ্বব্যাপী কোনো এই হা হা কার শুরু হলো তা এখনও অনেকের কাছেই অকল্পনিও। আজকের এই পোষ্টে আলোচনা করবো কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস নিয়ে। কিভাবে এটি ছড়ায়, কিভাবে এই রোগ থেকে নিজের আপন জন দের দুরে রাখবেন এবং সবশেষ কিভাবে এই মারাত্নক ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যায়।
টিভি চালালে, মোবাইল ধরলে, কম্পিউটারে ডুকলে চারিদিকে শুরু একটাই খবর করোনা ভাইরাস। কিন্তু এখন যেহেতু করোনা ভাইরাস আমাদের শারীরিক ভাবে দরজার সামনে এসে উপস্থিত তাই আমরা সিন্ধান্ত নিলাম এভারে সত্যি এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা দরকার। তাই এই পোষ্টটি সম্পূর্ন পড়ার অনুরোধ রইলো যাতে আপনি এবং আপনার প্রিয়জনরা সুরক্ষিত থাকতে পারে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব হতে থাকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই রোগটির নাম করন করেন COrona VIrus Disease যার সংক্ষিপ্ত রুপ হলো Covid-19. এবং যে ভাইরাসটির কারনে এই রোগটি হয় তার নাম Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus 2 যার সংক্ষিপ্ত রুপ হলো SARS-COV-2.
এই ভাইরাসের সংক্রমনে ইতোমধ্যেই বহু মানুষ মারা গেছেন এবং সংখ্যাটা দিন দিন বাড়তেই আছে। এবার প্রশ্ন হলো এতো কম সময়ে এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এই রোগ টি ছড়িয়ে পড়লো- কারন এই অসুখটি একজন করোনা আক্রান্ত মানুষের ৬ ফিট বা দুই হাত দুরত্বের মধ্যে থাকলেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে সেই আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচ্চি, কাঁশি বা থু থু থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এই ভাইরাস লেগে রয়েছে এমন কোনো স্থানে হাত দিয়ে স্পর্শ করার পর সেই হাত যদি আপনি আপনার চোখ, নাক বা মুখে দিয়ে ফেলেন সেখান থেকেও এই ভাইরাসটির সংক্রমন ঘটতে পারে।
একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর যে যে লক্ষন গুলো দেখা যায় সে গুলো হলো- জ্বর, কাঁশি, শ্বাস কষ্ট, গায়ে, মাথায়, গলায় এবং বুকে ব্যথা, মুখের স্বাদ হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি। এছাড়াও আরও নানা উপসর্গ দেখা দেয় যার কারনে আক্রান্ত ব্যক্তি খুই দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। এখনও করোনা অর্থাৎ কোভিড-১৯ এর পরীক্ষিত কোনো ভ্যাকসিন আবিস্কার হয় নি। সেজন্য আপনি এবং আপনার প্রিয়জনদের সুরক্ষিত রাখতে এই ৪ টি নিয়ম মেনে চলুন।
Table of Contents
১. নিজের হাত পরিস্কার রাখুনঃ
নিজের হাত সব সময় পরিস্কার রাখুন। সেনিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে সব সময় আপনার হাত পরিস্কার রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে বাইরে থেকে আসলে অথবা হাঁচ্চি কাশির পরে কম করে হলেও ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধুয়ে হাত পরিস্কার করুন। এবং চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
২. অন্যদের থেকে দুরত্ব বজায় রাখুনঃ
এই ভাইরাস থেকে বাচার আর একটি কার্যকর উপায় হলো দুরত্ব বজায় রেখে চলুন। কম পক্ষে দু হাত দুরত্ব বজায় রাখুন এবং যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন।
৩. মুখ এবং নাক ডেকে রাখুনঃ
হাঁচ্চি বা কাশি পেলে অবশ্যই রুমাল বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ডেকে নিন। এবং বাড়ির বাইরে বের হবার সময় অবশ্যই মাস্ক পড়ে বের হবেন।
৪. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুনঃ
সব কিছু পরিস্কার এবং জীবানুমুক্ত রাখুন। প্রতিদিন ব্যবহৃত জিনিস যেমন টেবিল, সুইচ, দরজার হাতল, কল, ফোন সমস্ত কিছু পরিস্কার রাখুন। কোথাও অপরিস্কার থাকলে সেখানে পানি এবং ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিস্কার করে নিন।
আমাদের সাধারন জীবনযাপন একেবারেই বদলে গেছে। সবাইকে বাড়িতে বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা গুলোও বদলে গেছে। তাই চেষ্টা করুন ঘরে বসেই সব কাজ সম্পূর্ন করা আর বাইরে না যাওয়া।
এতোমধ্যেই অনেক ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হয়েছে আশা করা হচ্ছে এ বছরই ভ্যাকসিন আসবে বাজারে।
Outstanding story there. What occurred after? Take care!