ভারতের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেসের নেতৃত্ব হাতছাড়া হচ্ছে গান্ধী পরিবারের

ভারতের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেসের নেতৃত্ব হাতছাড়া হচ্ছে গান্ধী পরিবারের

International

ভারতের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ালো কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন কন্দল। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচনের শর্তে আপতত দায়িত্বে থাকতে রাজি হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতৃত্ব দেওয়ার দাবি জোড়াল হয়েছে।

দলকে ঠেলে সাজানো সক্রিয় নেতৃত্ব এবং পূর্ণকালীন সভাপতি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে সভা নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বরাবর চিঠি লিখেন কংগ্রেসের ২৩ প্রভাবশালী নেতা। যা ফাস হয়ে যাওয়ার পরই স্পস্ট হয় দলের অন্তর কোন্দলের চিত্র। এই অবস্থায় সোমবার ভার্চুয়াল সম্মেলনে বসেন ভারতের সবচেয়ে ঐতিয্যবাহী দলের কেন্দ্রীয় ওর্য়াকিং কমেটি। সিন্ধান্ত হয় আগামী ৬ মাসের মধ্যে সভাপতি নির্বাচন।

দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমেটি শ্রী মতি সোনিয়া গান্ধিকে সভা নেতৃ থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ মহামারি পরিস্থিতি সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া সম্ভব। সে সময় পর্যন্ত প্রত্যেক কংগ্রেস নেতাকে সর্মথক দেয়া উচিৎ গনতন্ত্র সমুন্নত রাখা।

কংগ্রেস সভা-নেত্রী স্পস্ট ভাষায় জানিয়েন, আমরা একটি বিশাল পরিবার। সোনিয়া গান্ধি বলেছেন দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রতি তার কোনো রাগ নেই। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নিতে চান না তিনি।

নেতৃত্ব নিয়ে বিরধী দের এমন টানাপড়নে কংগ্রেসকে আক্রমন করার সুযোগ হাতছাড়া করছে না বিজেপি।

এই নিয়ে অনেকেই বলছেন, কংগ্রেস বিলীন হয়ে গেছে। নেহেরু গান্ধি পরিবারের প্রভাব বলয় থেকে এতো দিনে মুক্তি পাবে ভারতের রাজনীতি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে বলতে চাই দলটির জেষ্ঠ্য কোনো নেতাকে সভাপতি করা উচিৎ যিনি সত্যিকার অর্থ্যে গান্ধিবাদী চিন্তাধারা পোষন করেন। কংগ্রেসকে বলবো বিদেশী নয় বরং স্বদেশী গান্ধি আন্দোলনে ফিরুন।

জহরলাল নেহেরু, ইন্দ্রিরা গান্ধির ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ভারতে বেশির ভাগ সময় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ছিলো গান্ধি পরিবারের হাতে। যে তালিকায় সবশেষ সংযোজন ছিলেন রাহুল গান্ধি। তবে ২০১৪ সাল থেকে একের পর এক নির্বাচনী ব্যর্থতায় দলের ভেতরেই প্রশ্ন উঠে তার সক্ষমতা নিয়ে। মা সোনিয়া গান্ধি আপদকালীন দায়িত্ব নিলেও দীর্ঘ মেয়াদী কে দলের হাল ধরবেন তা নিয়েই চলছে জলপনা কল্পনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *